বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিতর্কিত, সুচতুর ও একাধিক মামলার আসামি সাংবাদিকদের কলংক লিমনের কর্মকান্ডে ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি’র নেতৃবৃন্দরা নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি’র দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামকে সামাজিকভাবে হেয়পতিপন্ন করার জন্য লিমনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। জানা যায়, বিতর্কিত সাংবাদিক দানিসুর রহমান লিমন বৃহস্পতিবার তার ব্যক্তিগত আইডিতে করোনা ভাইরাসের জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতার কথা বলে একটা পোস্ট দিলে বাকেরগঞ্জের অনেক সাংবাদিকই বিভিন্নভাবে উক্ত পোস্টের নিচে মন্তব্য করেন এবং তার উদ্যোগটি সম্পর্কে জানতে চান। সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম সহজসরল মনে লিমনের আইডিতে মন্তব্য করলে সুচতুর লিমন আজ সকালে একটা ব্যাগ এবং সাথে কয়েকজন সাংবাদিক নিয়ে জাহিদুল ইসলামের বাড়ি হাজির হয়ে জোর পূর্বক লিমন সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামের হাত ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে ছবি তুলে আবার ব্যাগ নিয়ে চলে আসেন। পরবর্তীতেতে বিতর্কিত, সুচতুর এবং একাধিক মামলার আসামি সাংবাদিকদের কলংক দানিসুর রহমান লিমন সাংবাদিক জাহিদুল ইসলালকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছে বলে তার নিজের পরিচালিত একাধিক ফেসবুক আইডি, তার সমর্থক কয়েকজন সাংবাদিকের আইডি দিয়ে পোস্ট দিলে পুরো উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম মনির বলেন, আমাকে বিতর্কিত করতে একের পর এক ফন্দি আঁটেন। তারই অংশ হিসাবে ফন্দিবাজ লিমন জোরপূর্বক আমার হাতে ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে ছবি তুলে এমন কর্মকান্ড করেছে। যে কিনা নিজেই আর্থিক সংকটে পতিত, এমনকি তার পরিধানের প্যান্ট সার্ট পর্যন্ত আমারই দোকান থেকে দেয়য়া অনুদান। স্বাভাবিক ভাবেই একটু কৌতুহল হলে লিমনের স্ট্যাটাসের নিচে একটা কমেন্ট করে কিছু সাহায্য দিতে বললাম। সুযোগটা কাজে লাগাতে সকালে ঘুম থেকে জাগার আগেই দেখি দলবল নিয়ে হাজির। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটা ব্যাগ জোরপূর্বক আমার হাতে ধরিয়ে দেবার চেষ্টা, অন্যদিকে তার সাঙ্গপাঙ্গরা ভিডিও এবং ফটোসেশন নাটক সাজাতে ব্যস্ত এবং কিছু সময় পরে সে ছবি গুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ করে নিজেদের অহমিকা জাহির করেন। এহেন সামাজিক অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আজকে বেঁচে আছি, কালকে হয়তো থাকবোনা। বাকেরগঞ্জের মানুষের জন্য যতটুকু সম্ভব নিঃস্বার্থ ভাবে করেছি। এখন প্রিয় সহকর্মী সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতার কথা চিন্তা করে আমিও যথাযথ প্রচেষ্টায় নিজের ব্যবসার অর্থ দিয়ে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছি। সবাই দোয়া করবেন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারি। আর এসব অপ-সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে যেনো মরার লড়াই চালিয়ে যেতে পারি।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আমিন মিরাজ বলেন, আমরা জানি জাহিদুল ইসলাম একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দেশের বাইরে পাঁচ বছর ভালো জব করেছেন। ইতিমধ্যেই অনেক সাংবাদিককে অতি গোপনে অনেক সাহায্য করে আসছেন। মনিরকে সাহায্য দেয়ার নাটক করে এটা কি মানায় ছি: ছি: আসলেই ওরা জঘন্য। যারা একজন সংবাদকর্মীকে সমাজের ছোট করতে চেষ্টা করেছে শুনলাম জাহিদুল ইসলাম মনিরের পরিবার থেকে বিষয়টা মামলা রেকর্ড করাবে।
এ বিষয়ে উপজেলার সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিতর্কিত, সুচতুর এবং একাধিক মামলার আসামি সাংবাদিকদের কলংক দানিসুর রহমান লিমনের একের পর এক অনৈতিক কর্মকান্ডে আমরা বাকেরগঞ্জের পেশাদার সাংবাদিকেরা বিব্রত। সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামকে নিয়ে এমন মিথ্যা ছবি পোস্ট করে সে উপজেলার সাংবাদিকদেরকে অপমান করেছে। কোন সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে হলে সে এমন ছবি প্রচার করবে কেন? এটা লিমনের হীন মানুষিকতার বহিঃপ্রকাশ। এই মিথ্যে ছবি প্রচার করার জন্য অবিলম্বে বাকেরগঞ্জের পেশাদার সাংবাদিকদের কাছে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তাকে বাকেরগঞ্জের পেশাদার সাংবাদিকেরা বয়কট করবে।